প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মানুষকে মাস্ক পরার জন্য বাধ্য করতে হবে। এ জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা বাড়ানোসহ আরও কঠোর অবস্থানে যেতে হবে। মাস্ক পরার বিষয়টি বেশি বেশি প্রচার করতে হবে। কারণ মাস্ক না পরলে যত কিছুই করা হোক, কাজে আসবে না।
গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরা নিয়ে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের পর সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে সরকারের এমন
অবস্থানের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
আনোয়ার বলেন, বিভাগীয় কমিশনাররা জানিয়েছেন, মাস্ক না পরায় গতকাল কয়েক হাজার মানুষকে জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় গতকাল ৩৭টি জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি আর এক সপ্তাহ দেখা হবে। এর পর আরও শক্ত অবস্থান নেওয়া হবে।
শক্ত অবস্থানটি কী হবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জরিমানা ৫০০ বা ১ হাজারের জায়গায় ৫ হাজার টাকা হতে পারে, দেখা যাক। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার সময় বেশি করে মাস্ক সঙ্গে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইন অনুযায়ী তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন এই ট্রাস্টের সুবিধা যারা পাবেন, তারা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের কোনো সুবিধা পাবেন না। অর্থাৎ কোনো শিল্পী দুই ট্রাস্ট থেকে সুবিধা পাবেন না। এ ছাড়া বৈঠকে কোভিড-১৯ মহামারীর অভিঘাত মোকাবিলায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে জানানো হয়।
Leave a Reply